করোনা ভাইরাসে’র সংক্রমণের ঝুঁকি এড়াতে বাংলাদেশের সব পর্যটন’কেন্দ্র বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। বুধ’বার ১৮ মার্চ দিনের বিভিন্ন সময়ে এসব জেলা’র জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এই সিদ্ধান্ত ঘোষণা করা হয়েছে।
পার্বত্য জেলা রাঙা’মাটির সব পর্যটন ও বিনো’দন কেন্দ্র পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা করেছে সর’কার। বুধ’বার ১৮ মার্চ রাত নয়’টায় এ তথ্য জানিয়েছেন রাঙা’মাটি জেলা প্রশাসক একে,এম মামুনুর রশিদ।
জেলা প্রশা’সক বলেন, পরবর্তী নি’র্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত রাঙা’মাটির সব পর্যটন ও বিনোদন কেন্দ্রে পর্যটক ভ্রমণে নিষে’ধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। এ নির্দেশনা যদি কেউ অমান্য করে তবে তার বিরু’দ্ধে আইনা’নুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
জন’সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে শহরে মাইকিং করেছে রাঙা’মাটি জেলা তথ্য অফিস। মাইকিং’য়ে জানানো হয়, বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া যাতে কেউ হাট বাজারে বা জন’সমাগম হয় এমন স্থানে না যায়। করোনা নিয়ে কোনো গু’জবে কান না দিয়ে সচেতন হতে বলা হয়েছে।
রাঙা’মাটি জেলা আবাসিক হোটেলি মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মঈন উদ্দিন জা’নিয়েছেন, বুধবার যারা রাঙা’মাটি এসেছেন তাদের কাল সকালে রুম ছেড়ে দিতে বলা হবে। আর কাল থেকে নতুন করে কাউকে রুম ভাড়া দেয়া হবে না। আমরা ইতি’মধ্যে সকল হোটেল মালিককে জানিয়ে দিয়েছি।
করোনা ভাইরাস থেকে নিরাপদ রাখার স্বার্থে খাগড়া’ছড়িতেও বিদেশি পর্যটকের ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন খাগড়া’ছড়ি জেলা প্রশাসন প্রতাপ চন্দ্র বিশ্বাস। একই সঙ্গে দেশি পর্যটক’দের খাগড়া’ছড়িতে ভ্রমণের ক্ষেত্রে নিরুৎ’সাহিত করা হচ্ছে।
জেলা প্রশা’সক বলেন, করোনা ভাইরাস যেহেতু সং’ক্রামক তাই দেশের সার্বিক অবস্থা বি’বেচনা করে এই সময়ে যাতে পর্যটক’রা খাগড়া’ছড়িতে না আসে। জন’স্বার্থে এবং নিজেদের সঙ্গে আপা’তত ভ্রমণ থেকে বিরত থাকার অনু’রোধ জানান তিনি।
এদিকে পর’বর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বান্দর’বানে দেশি-বিদেশী পর্যটকদের ভ্রমণে নিরুৎ’সাহিত করেছে জেলা প্রশাসন।
বুধ’বার সন্ধ্যায় জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ দাউদুল ইস’লাম কর্তৃক জেলা প্রশাসনের জারি করা এক প্রজ্ঞাপ’নে এ তথ্য জানানো হয়।
থানচি উপ’জেলার নির্বাহী কর্মকর্তা আরিফুল হক মৃদুল বুধবার দুপুরে জানান, করোনা ভাইরাস প্রতি’রোধে সতর্কতা’মূলক ব্যবস্থা হিসেবে থানচিতে ভ্রমনেচ্ছু পর্যটকদের’কে আপাতত আগামী ৩১ মার্চ পর্যন্ত ভ্রমণে নিরুৎ’সাহিত করা হচ্ছে। সাময়িক অসু’বিধার জন্য আমরা দুঃখিত।এই ব্যাপারে তিনি পর্যটক’দের সহ’যোগিতা কামনা করেন।
বুধ’বার বিকালে চীন প্রবাসী নারী’সহ ৪ জনকে কোয়ারেই’ন্টেনে রাখার কারণে বান্দর’বান জেলা প্রশাসন দ্রুত এই নির্দেশনা জারি করে বলে মনে করছে স্থানীয়’রা।
অন্য’দিকে, সুনাম’গঞ্জের তাহিরপুর উপ’জেলার টাঙ্গুয়ার হাওর, যাদু’কাটা নদী, বারিক টিলা, শহীদ সিরাজ’লেক, টেকের’ঘাট, শিমুলবাগানসহ সকল পর্যটন স্পটে পর্যটক’দের ভ্রমণ ও যাতা’য়াত নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে উপজেলা প্রশাসন।
বুধ’বার রাতে এসব কেন্দ্রে পর্যটক’দের যাওয়ার নিষেধের আদেশ প্রদান করেন উপ’জেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিজেন ব্যানার্জী। দেশে করোনা ভাই’রাসের বিস্তার ঠেকাতে ও জন’গণকে নিরাপদ রাখতে পরিস্থিতি স্বাভা’বিক না হওয়া পর্যন্ত পর্যটক’দের যাতা’য়াত নিষেধ থাকবে বলে জানান তিনি।
তাহির’পুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্ম’কর্তা মো. আতিকুর রহমান বলেন, এসব পর্যটন স্পটে পুলিশের নিয়’মিত নজরদারি থাকবে।
করোনা ভাই’রাসের কারনে পর্যটন এলাকা কুয়া’কাটার সকল হোটেল মোটেল অনির্দিষ্ট কা’লের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এই সময় পর্যটক’দের না আসতে বলা হয়েছে। মাইকিং করে পর্যটক’দের বাড়ি ফিরে যেতে বলছে টুরিষ্ট পুলিশ।
কুয়া’কাটা ট্যুরিষ্ট পুলিশের সিনিয়র এএসপি জহিরুল ইসলাম জানান জেলা প্রশাস’নের নির্দেশনা অনু’যায়ী সকল পর্যটক’দের আগামীকাল বৃহস্পতি’বারের মধ্যে বাড়ী ফিরে যেতে বলা হয়ে’ছে। এছাড়া হোটেল মোটেল’গুলোকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত হোটে’লে কক্ষ বুকিং না রাখার অনু’রোধ করা হয়েছে। এছাড়া আজ থেকে সৈক’তের সকল দোকান’পাট সরিয়ে নিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
জে’লা প্রশাসক জনাব মো. মতিউল ইসলাম চৌধু’রী জানান, আমরা করোনা ভাই’রাসের সংক্রম’ণের ঝুঁকি এড়াতে আমরা বন্ধ ঘোষণা করেছি। সকল শিক্ষা প্রতি’ষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে যাতে শিক্ষার্থী’রা নিরপদে ঘরে থাকবে। সাথে সাথে তাদের’কে বলা হয়েছে বিনা কারণে বাইরে না যাওয়ার জন্য । যারা কুয়া’কাটায় ভ্রমণ করতে আসতে চান তাদের’কে অনুরোধ করবো ঝুঁকি’মুক্ত সময় নির্ধারণ করে বেড়া’তে আসার জন্য।