করোনা’র কারণে কোনো রকম সম’ঝোতা ছাড়াই আকস্মিক সিদ্ধান্তে তৈরি পোশা’কের কার্যাদেশ বাতিল করছেন ক্রেতা’রা। গত’কাল বুধবারেই ১২ ঘণ্টায় বাতিল ও স্থগিত হয়েছে ১০ কোটি ৩০ লাখ ডলা’রের বা ৮৭৯ কোটি ২৯ লাখ টাকার কার্যা’দেশ।
এ তথ্য জানিয়ে বিজি’এমএই বলছে কাজে’র অভাবে যেন কার’খানা বন্ধ না হয় সে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে সংগঠন’টি। আর ক্ষতি’র পরিমাণ ও ঝুঁকি মোকা’বিলার সামর্থ্য বিবেচনা’য় সরকার’কে ক্ষতি’গ্রস্তদের পাশে থাকার পরামর্শ অর্থনীতি’বিদদের।
নিয়ন্ত্রণ’হীন করোনা ভাইরাসে’র কারণে টাল’মাটাল জনস্বাস্থ্য ও বিশ্ব অর্থনীতি। বিপর্য’স্ত বাংলাদেশের পোশা’ক খাতও। পোশাক শিল্প মালিক’দদের শীর্ষ সংগঠন বিজি’এমইএ বলছে ঘণ্টায় ঘণ্টায় বদলা’চ্ছে ক্রেতাদের সিদ্ধান্ত। বুধবার মাত্র ১২ ঘণ্টায় আকস্মিক’ভাবে ৯৪ কারখানার ১০৩ মিলিয়ন ডলারের কার্যা’দেশ বাতিল ও স্থগিত করেছে ক্রেতা প্রতিষ্ঠান’গুলো। এ অবস্থায় ব্যবসায়িক নৈতিক’তার জায়গা থেকে ক্রেতা’দের পাশে থাকার আহ্বান শিল্প মালিক’দের। যেন বন্ধ না হয়ে যায় উৎ’পাদন।
বিকে’এমই-এর প্রথম সভা’পতি মোহাম্মদ হাতেম আলী বলেন করোনার প্রভা’বে মারাত্মক প্রভাব পড়ে’ছে গার্মেন্ট শিল্পে। সামনে হয়তো আমরা সঙ্ক’টের মুখে পড়ার আভাস পা’চ্ছি।
বিজি’এমই-এর সভা’পতি ড. রুবানা হক বলেন আমরা এখ’নো ১০৩-৪ মিলিয়ন ডলারের মধ্যে আছি। কিন্তু প্রতি’নিয়ত এটা বদলে যাচ্ছে। আমরা কোনো’মতে ফ্যাক্টরি বন্ধ করা’র পক্ষে না। শেষ পর্যন্ত বাংলা’দেশে বাজার থাকবে। কাজেই আমাদের’ও একটু শক্ত অবস্থা’নে যেতে হবে। সেই স’ঙ্গে একটু হিসাব রাখ’তে হবে। কোন ক্রেতা কেমন ক্যান’সেল করছে। তারা’ই সব সময় আমা’দের মার্ক দেবে। আমরা’ও তাদের মার্ক দেব।
অর্থনীতি’বিদরা বলছেন মালিক’শ্রমিক বিবেচনা না করে প্রকৃত ক্ষতি’গ্রস্তদের সহযোগি’তায় সরকারের এগিয়ে আসা দর’কার। যেন বন্ধ না হয় শিল্পে’র চাকা।
অর্থনীতি’বিদ ও পিআর’আই নির্বাহী পরিচা’লক আহসান এইচ মনসুর বলেন করোনা ভাইরা’সে সারা বিশ্বের অর্থনীতি ক্ষ’তির মুখে।
অর্থনীতি’বিদ জাহিদ হোসেন বলেন করোনা’র প্রভাবে যেসব শিল্প প্রতিষ্ঠান সব’চেয়ে বেশি ক্ষতি’গ্রস্ত হয়েছে সেটার দিক বিবেচনা রেখে তাদের সুযোগ’সুবিধা দেখে সরকার’কে সাহায্য দিতে হবে।
পরিবর্তী’ত বৈশ্বিক প্রেক্ষা’পট মাথায় রেখে শিল্প মালিক’দের সতর্কতার সঙ্গে করণীয় ঠিক করার ওপর জোর দিচ্ছেন অর্থ’নীতি বিশ্লেষক’রা।